জামিনের আশায় খালেদার পরিবার
প্যারোল নয়, জামিন আবেদনের কথাই ভাবছে বেগম জিয়ার পরিবার। এ কথা জানিয়েছেন তার বোন সেলিনা ইসলাম। তিনি জানান, জামিন নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। যদিও আইনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার জামিন হওয়া নিয়ে সংশয়ে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
জামিন নাকি প্যারোল, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির এই দুই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে চেয়ে এরইমধ্যে একটি আবেদন করে বেগম জিয়ার পরিবার। তার আইনজীবীরাও জামিন আবেদন প্রস্তুত করেছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বেগম জিয়ার বোন জানান, মুক্তির জন্য হাইকোর্টের দিকে তাকিয়ে তারা। সেখান থেকে মুক্তির আদেশ না এলে প্যারোলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
বেগম খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিনা ইসলাম বলেন, ‘আমরা তো জামিনই চাইব। এখন দল থেকে জামিনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা জামিনের দিকেই এগুতে চাই। জামিন হলে সবচাইতে ভালো হয়। জামিন না হলে তখন হয়তো আমরা প্যারোলের দিকে আগাবো বা অন্য কিছু করব। অনেক শর্ত হয়ে থাকে এজন্যই আমরা চাচ্ছি জামিন হোক। জামিন হলে আরা শর্ত থাকে না।’
যদিও হাইকোর্টে বেগম জিয়ার জামিন হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
তিনি বলেন, প্যারোলের কোনো শর্ত নেই। এখন সরকার কী ধরনের শর্ত চাচ্ছে এটা তো সরকারকে বলতে হবে। আমরা চাচ্ছি, সুচিকিৎসার জন্য প্যারোলে তাকে সাময়িকভাবে মুক্তি দেয়া হোক।
অ্যার্টনি জেনারেল মাহবুবে আলম বলছেন,প্যারোল না চেয়ে রাজনৈতিক বক্তব্য দিলে সমস্যার সমাধান হবে না।
তিনি বলেন, কেউ যদি প্যারোলে যেতে চায় তার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। কেউ যদি মনে করে তার সাজাটা কমাতে হবে সেটাও দরখাস্ত করতে হবে। দরখাস্ত না করে মাঠে বক্তৃতা দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
প্যারোলের ক্ষেত্রে দোষ স্বীকার করার কোনো বিধান নেই। তাই সরকারকে শর্তের বিষয়টি পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছেন বেগম জিয়ার আইনজীবীরা।